জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ১২তম বাজেট। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা থেকে বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। নতুন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। এরআগে দুপুর সাড়ে বারোটার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত বাজেটে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এবার নতুন করে কোনও করারোপ করা হচ্ছে না। তাই বাজেট ব্যয়ের এ পরিমাণ শেষ মুহূর্তে আরও কিছুটা কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বছরের এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার তুষ্টিকেই মূল লক্ষ্য ধরে আজ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ বাজেটের সম্ভাব্য আকার হচ্ছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। নির্বাচনী বছর হওয়ায় এবারের বাজেট সরকার ও সব শ্রেণির মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একদিকে ভোট, অন্যদিকে নানা প্রতিশ্রুতিসমৃদ্ধ এই বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় রেখেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
যদিও বাজেট বাস্তবায়নে পুরো সময় পাচ্ছে না বর্তমান সরকার। কারণ আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার কোনো ধরনের ঝুঁকি নিচ্ছে না। তাই অন্যবারের মতো নতুন নতুন কর চাপিয়ে ভোটারদের অসন্তুষ্ট করার মতো তেমন কোনো ঘোষণা এবার থাকছে না। বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭ থাকবে বলে অনুমান করছে। সেখানে অর্থমন্ত্রী আজ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ধরে বাজেট উপস্থাপন করবেন।